নিজস্ব সংবাদদাতা: মাত্র ৬দিনেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩০০জন শিশু! কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালুরু শহর থেকে এই তথ্য উঠে আসার পর চমকে উঠেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ আগেই জানিয়েছিল যে তাঁদের হিসাব অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসেই দেশে আছড়ে পড়তে পারে কোরনার দ্বিতীয় ঢেউ এবং এই পর্যায়ে শিশুদেরই আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি। ব্যাঙ্গালুরুর এই ঘটনাকে তারই অশনি সঙ্কেত মনে করছেন তাঁরা। দ্বিতীয় ঢেউ এখনও শেষ হয়নি। তারই মধ্যে আসতে পারে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ এমন আশঙ্কা করা ছিল। সেই আশঙ্কা এবার কী তবে সত্যি হতে চলেছে? অন্ততঃ গত ৬ দিনে ব্যাঙ্গালুরুতে ৩০০ শিশুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সেই আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
কয়েক ঘন্টা আগেই কর্ণাটকের সর্ববৃহৎ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন ‘বৃহৎ ব্যাঙ্গালুরু মহানগর পালিকা একটি নথি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ৫ থেকে ১০ আগস্ট শহরে ১২৭ শিশু কোভিড আক্রান্ত হয়েছে, যাদের বয়স ১০ বছরের নীচে। ওই ৬ দিনে কোভিড আক্রান্ত বাচ্চাদের মধ্যে ১৭৪ জনের বয়স ১০ থেকে ১৯ বছর। এরপরই কর্ণাটকের রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর হুঁশিয়ারি দিয়েছে, আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তাই শিশুদের সতর্ক থাকতে হবে। পরিস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে, কারণ ভারতে এখনও শিশুদের কোভিড টিকা দেওয়া শুরু হয়নি। কবে তা শুরু হবে, সেই বিষয়েও জানা যায়নি। এরই মধ্যে এই তথ্য হাড়ে কাঁপন ধরিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হতে পারে। কারণ এখনও বেশিরভাগ দেশেই শিশুদের টিকাকরণের আওতায় আনা যায়নি। তবে এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া থেকে অনেক বিজ্ঞানীই মনে করেন, তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হবে, এমন কোনও প্রমাণ নেই। ঘটনা যাইহোক না কেন তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে ধরে নিয়েই কেন্দ্র এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যগুলি চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। দেশের বড়বড় শহরগুলোতে শিশুদের জন্য পৃথক করোনা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। এমনকি তৈরি হয়েছে আইসিইউ ইউনিটও।