নিউজ ডেস্ক: বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল দুই যুবক। শুক্রবার গভীর রাতে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের মথুরা এলাকায় নাকা চেকিংয়ে ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে সোনাপুর ফাঁড়ির পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। পুলিশের অনুমান, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া প্রাণীর দেহাংশটি গন্ডারের খড়গ। তা নিশ্চিত করতে সেই দেহাংশটি ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতদের নাম অনির্বাণ দাস (২৫) ও অভিজিৎ সূত্রধর (২১)। দু’জনই কোচবিহার জেলার পুন্ডিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও দেবাশীষ চক্রবর্তী জানান, বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সারপ্রাইজ নাকা চেকিং বসছে। শুক্রবার রাতে সেরকম সারপ্রাইজ নাকা চেকিং হয় সোনাপুরে।পুলিশ সন্দেহভাজন দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।তাদের থেকে উদ্ধার হয় বন্যপ্রাণীর দেহাংশ। শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়।বন্যপ্রাণীর দেহাংশটি গণ্ডারের খড়গ কি না তা নিশ্চিত হতে তা পাঠানো হবে ফরেন্সিক ল্যাবে।
এর আগে 2020 সালের জানুয়ারি মাসে বনদপ্তরের উত্তরবঙ্গ স্পেশাল টাস্কফোর্সের অভিযানে হাতির দাঁত ও গণ্ডারের খড়গ সহ তিন পাচারকারী গ্রেফতার হয়।অসম থেকে সিকিমে পাচার করার কথা ছিল চোরাশিকারিদের লুঠ করা বন্যপ্রাণীর দেহাংশ। কিন্তু যাওয়ার পথে বন দফতরের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ল দুষ্কৃতীরা। ধৃতরা আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ, সিকিম ও ভূটানের বাসিন্দা।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, অসমের জঙ্গল থেকেই জোগাড় করা হয়েছিল পাচারের জন্য খড়্গ ও হাতির দাঁত। দু’টি স্কুলব্যাগের মধ্যে লুকিয়ে বন্যপ্রাণের দেহাবশেষ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনের প্রথম তফসিলের প্রথম বিভাগে অন্তর্ভুক্ত থাকায় ভারতীয় হাতি ও গণ্ডার চূড়ান্ত নিরাপত্তা পেয়ে থাকে।