নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তা ছিলই। যেন সেই নিক্তি মেপেই বুধবার রাত থেকেই অতিভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরে। যার ফলে পাহাড়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। সেবকে ধস পড়ে যানচলাচল স্তব্ধ হয় বৃহস্পতিবার। আর ধসের জেরেই জাতীয় সড়কে এবার পাথর ভেঙে পড়ে একটি অটোর উপরে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন দুজন। আহতদের নাম রিংচেন তামাং ও গণেশ বর্মন।
জানা গেছে বৃহস্পতিবার সকালে অটোটি শালুগাড়া থেকে সেবক এর দিকে যাচ্ছিল তখনই হঠাৎ পাহাড় থেকে পাথর ভেঙে অটোর উপরে পড়ে। ঘটনাচক্রে অটোর উপরে বসে থাকা দুইজন গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে বুধবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি চলছে কালিম্পঙে। বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বড়সড় ধসের ঘটনা ঘটে। সেভকের করোনেশন সেতু পার করেই সেভক ও কালিঝোরার মাঝে হাতিশুঁড় এলাকায় ওই ধসের ঘটনা ঘটে। যার জেরে রাস্তার দুধারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন, দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দল, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ আধিকারিকরা।
সকাল থেকে ধস সরানোর কাজ শুরু হলেও বিকেলের আগে ধস সরানোর কাজ শেষ হবে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে একমুখি যান চলাচল যাতে শুরু করে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেদিকে জোর দিচ্ছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। এর আগেও পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছিল। এদিন সকালেও ধসের ফলে আটকে পরে প্রচুর সিকিমগামী যাত্রী ও মালবাহী গাড়ি।
এরআগে জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রবল বৃষ্টিপাতে সেবক-সিকিম রেল টানেলে ধস নামে। ঘটনায় মৃত্যু হয় ২ শ্রমিকের। আহত হন আরও ৪ জন। এরপর গত জুলাই মাসের শেষ দিকে অতিবৃষ্টিতে ঘটে যায় আরেক দুর্ঘটনা।মামখোলা এলাকায় সেবক রংপো রেললাইনে নাইট শিফটে কাজ চলছিল ১০ নং টানেলে। প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, অবিরাম বৃষ্টির জেরে আচমকাই স্থানীয় পাহাড়ি নদীর জল বেড়ে গিয়ে গভীর রাতে ওই এলাকা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন শ্রমিক সেই থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এক শ্রমিকের মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়।