নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা ও ব্যবসায়ী জয় চাঁদ আগরওয়াল বিরুদ্ধে তাঁকে দিয়ে ভুল বুঝিয়ে অভিযোগ করানো হয়েছিল বলে আদালতে দাঁড়িয়ে জানালেন অভিযোগকারিণী মহিলা। মঙ্গলবার মহিলার বয়ানের পরই জামিনে মুক্তি দেওয়া হল ব্যবসায়ী জয় চাঁদ আগরওয়ালকে। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে। মহিলাকে এই অভিযোগকরতে বাধ্য করেছিল তৃনমূল কংগ্রেসেরই লোকেরা দাবি করল বিজেপি।
উল্লেখ্য গত ২৮শে জুলাই জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট থানায় এক মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে যে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জয় চাঁদ আগরওয়াল সেই মোহিলার যৌন শোষণ করে পাশাপাশি এই ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি স্থানীয় বাসিন্দা তথা আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলার দ্বারস্থ হলে সাংসদ তার সাথে আর্থিক প্রতারণা করেছেন। এই অভিযোগ করার পরেই সেই অভিযোগকারী মহিলাকে বানারহাট থানার পুলিশ জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্তের কাছে নিয়ে আসেন। পুলিশ সুপার মহিলার সাথে কথা বলে তিনি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংসদ ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কথা বলেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করার কথাও ঘোষণা করেন৷
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে দাড়িয়ে বিচারকের সামনে অভিযোগকারী মহিলা বলেন তাকে ভুল বুঝিয়ে কিছু ব্যক্তি এই অভিযোগ করিয়েছিল। ব্যবসায়ী জয় চাঁদ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই পাশাপাশি সাংসদ জন বারলার বিরুদ্ধেও আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমাকে মিথ্যা বলে এই অভিযোগ করানো হয়েছিল। এর পরেই বিচারক ব্যবসায়ী জয় চাঁদ আগরওয়ালকে বিচারক জামিনে মুক্তি দেয়। যদিও এই বিষয়ে পুলিশের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিন জয়চাঁদ আগরওয়ালের আইনজীবী অত্রি শর্মা বলেন নির্যাতিতা আজ আদালতে এসে বলেছেন জয়চাঁদের বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ নেই।তিনি কোন অভিযোগ করেননি।জয়চাঁদ ভগবানের মত তাকে সাহায্য করেছে তার দুর্দিনে। এমনকি জন বারলাও তাকে সাহায্য করেছেন।তার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না তাকে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিলেন।সেটা থানায় অভিযোগ হবে বুঝতে পারিনি বলে মহিলা দাবি করেছেন। এরপরই আদালত জয়চাঁদ আগরওয়ালকে জামিন দিয়েছেন।
জেল থেকে বেড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য জয়চাঁদ আগারওয়ালের। তিনি অভিযোগ করেন স্থানীয় তৃণমূলের কিছু যুবক গত এক-দেড় মাস থেকেই তাকে জনতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কথা বলেছিল।জয়চাঁদ তৃণমূলের সেই যুবকদের কথা না শোনায় তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছিল। সাংসদ জন বারলার সাথে তার ভাল সম্পর্ক রয়েছে সে কারণেই তৃণমূল জয়চাঁদকে চাপ দিচ্ছিল।
জয়চাঁদ আরো অভিযোগ করে বলেন জন বারলাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরাতেই তৃণমূল এই কৌশল নিয়েছিল। তৃণমূলের কথা না শোনায় জয়চাঁদ আগারওয়াল ও জন বারলাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হয়। অভিযোগকারী মহিলাকে দিয়েও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এই মিথ্যা মামলা করায়। আজ জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি খুশি পরিবারের লোকদের সাথে বাড়ি ফিরে গেলেন জয়চাঁদ আগারওয়াল।